স্বাধীনতার ৭৯ বছর পরও দেশভাগের ইতিহাস ঘিরে রাজনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে তীব্র বিতর্ক। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণে সরকার ‘Partition Horrors Remembrance Day’ পালন করছে, আর ঠিক তখনই শিক্ষানীতিতে এসেছে বড় পরিবর্তন।
NCERT-এর নতুন কোর্স মডিউলে কংগ্রেসকে দেশভাগের জন্য ‘ঐতিহাসিক ভুল’-এর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ, তৎকালীন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সমঝোতার ব্যর্থতাই ব্রিটিশদের পরিকল্পনাকে সহজ করেছে। এই ব্যাখ্যা ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তীব্র সমালোচনা কুড়িয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কংগ্রেসকে সরাসরি দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্মৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তাঁর দাবি, Partition ছিল ভারতের ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়, যা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
ইতিহাসবিদদের মতে, ১৯৪৭ সালের দেশভাগে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয় এবং মৃত্যু হয় কয়েক লক্ষ থেকে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষের। কাশ্মীরসহ সীমান্ত বিরোধ আজও দুই দেশের সম্পর্কে স্থায়ী উত্তেজনা সৃষ্টি করে রেখেছে।
এদিকে, Partition Museum, Oral History Project ও অন্যান্য সংস্থা এখনও ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ ও নথিভুক্তি করে সেই সময়ের ঘটনা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সংক্ষেপে — দেশভাগের স্মৃতি শুধু ইতিহাসের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি আজও শিক্ষার পাঠক্রম, রাজনীতির বক্তব্য ও সামাজিক আলোচনার কেন্দ্রে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।











