চীনের রাজধানীতে চলছে ইতিহাসের প্রথম “ওয়ার্ল্ড হিউম্যানয়েড রোবট গেমস”, যেখানে অংশ নিয়েছে ১৬টি দেশের ৫০০-এর বেশি রোবট। উদ্বোধনীতে নাচ, বাদ্যযন্ত্র বাজানো থেকে শুরু করে ছোটখাটো ফুটবল ম্যাচে গোল দেওয়া—সবকিছুই দর্শকদের চমকে দিয়েছে। তবে এই আয়োজন শুধু বিনোদনের নয়, বরং প্রযুক্তিগত ক্ষমতার এক নতুন প্রদর্শনী।
কোন কোন প্রতিযোগিতা হচ্ছে
ইভেন্টে রোবটদের অংশগ্রহণ মূলত তিন ধরনের প্রতিযোগিতায় ভাগ করা হয়েছে—
1. খেলাধুলা ভিত্তিক: ফুটবল, বাস্কেটবল, দৌড় প্রতিযোগিতা।
2. শিল্প ও বিনোদন: নাচ, মিউজিক পারফরম্যান্স, ফ্যাশন শো।
3. প্রযুক্তিগত দক্ষতা: বাধা অতিক্রম, নিজে পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়ানো, মানবসদৃশ হাঁটা ও যোগাযোগ।
কারা কারা এগিয়ে
• চীন: আয়োজক দেশ হিসেবে ত্সিংহুয়া ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দল বিশেষ নজর কেড়েছে।
• জাপান: তাদের হিউম্যানয়েড রোবট দীর্ঘদিন ধরেই ভারসাম্য ও হাঁটার দক্ষতায় এগিয়ে।
• জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ন্ত্রণে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার দিক থেকে এগিয়ে।
রোবটদের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
• উন্নত সেন্সর ও ক্যামেরা দিয়ে ভারসাম্য ধরে রাখা।
• AI অ্যালগরিদম ব্যবহার করে রোবটরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে—যেমন খেলার মাঠে পাস দেওয়া বা আঘাতের পর দাঁড়িয়ে যাওয়া।
• ভয়েস ও মিউজিক রেসপন্স সিস্টেম: রোবটরা বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পাশাপাশি সুরের সাথে মুভমেন্টও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।
চীনের বার্তা
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রতিযোগিতা চীনের জন্য কেবল একটি প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বার্তাও—
• বিশ্বকে জানানো যে, চীন কেবল AI গবেষণায় নয়, বরং মানবাকৃতি রোবটের বাণিজ্যিকীকরণ ও ভবিষ্যতের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের দিক থেকেও অগ্রণী।
• চীনের সফট পাওয়ার বাড়ানো—শুধু সামরিক বা অর্থনীতিতে নয়, সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমেও প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেখানো।
দর্শক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
টিকিটের মূল্য ১৮০ ইউয়ান থেকে ৫৮০ ইউয়ান পর্যন্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভিড়ও উল্লেখযোগ্য। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি দেশকে যুক্ত করার চেষ্টা হবে।







