স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। পোস্টারে ভিনায়ক দামোদর সাভারকরের ছবি সবচেয়ে বড় ও শীর্ষে, আর তাঁর নিচে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও ভগৎ সিংয়ের ছবি। এই বিন্যাসকে কেন্দ্র করে বিরোধী শিবির অভিযোগ তুলেছে—এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতির এক পরিকল্পিত চেষ্টা।
🔴 বিরোধীদের ক্ষোভ
কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল পোস্টারটিকে ‘অরওয়েলিয়ান’ বলে অভিহিত করে বলেন, “ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাপত্র দেওয়া সাভারকরকে মহাত্মা গান্ধীর উপরে রাখা অপমানজনক।” তাঁর অভিযোগ—নেহরু ও সর্দার প্যাটেলের মতো নেতাদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সিপিএম সাংসদ জন Brittas মন্তব্য করেন, “এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং হিসেব কষে করা পদক্ষেপ।”
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা কটাক্ষ করে বলেন, “গান্ধীকে হত্যা করাই যথেষ্ট ছিল না, এবার তাঁর হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই মহিমান্বিত করা হচ্ছে। দেশ সস্তা তেল চাইছে, সস্তা কমেডি নয়।”
🟢 শাসকদলের সাফাই
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য পাল্টা জবাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাভারকর প্রশংসার পুরনো বক্তব্য তুলে ধরে দাবি করেন, “সাভারকরকে সম্মান দেওয়া নতুন কিছু নয়।”
📜 বিতর্কের পটভূমি
সাভারকর স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও আন্দামানের সেলুলার জেল থেকে মুক্তির জন্য একাধিক ‘mercy petition’ দেওয়ায় সমালোচিত হন। পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের তাত্ত্বিক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানও দীর্ঘদিন বিতর্কিত। অপরদিকে, মহাত্মা গান্ধী অহিংস আন্দোলনের প্রতীক—ফলে পোস্টারে সাভারকরের শীর্ষস্থানকে বিরোধীরা প্রতীকী রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখছে।
❓ মূল প্রশ্ন
এটি কি নিছক নকশাগত কাকতালীয় ঘটনা, নাকি স্বাধীনতার ইতিহাসের বয়ান বদলানোর ইঙ্গিত? বিরোধীরা বলছে—এটি দ্বিতীয়টিই। স্বাধীনতা দিবসের আবহে এই বিতর্ক আবারও প্রমাণ করছে, ভারতের রাজনীতিতে ইতিহাসের লড়াই এখনো থামেনি।











