জন্মাষ্টমীর শুভ দিনে দীঘার নতুন নির্মিত জগন্নাথ মন্দির প্রবেশ মুখেও ভক্তদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে পরিপূর্ণ এই দৃশ্য ছিল কেবল ধার্মিক নয়, বরং পর্যটক, গোছানো পরিবার ও বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য এক “অতুলনীয় ধর্মানুভূতি” হিসেবে হাজির।
পটভূমি ও প্রসঙ্গ
দিঘার জগন্নাথ মন্দির যা “জগন্নাথ ধাম” নামে পরিচিত—মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাত ধরে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে উদ্বোধন করা হয়। এটি পুরীর ঐতিহাসিক মন্দিরের আর্কিটেকচারাল রিপ্লিকা হলেও, নিজস্ব সৌন্দর্য ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যে ভক্তদের আকৃষ্ট করেছে।
ভক্ত সমাগম ও পর্যটন প্রভাব
• ওড়িশা সীমান্ত পেরিয়ে উড়ে এল ২০ লাখ ভক্ত — উদ্বোধনের পর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২০ লাখের বেশি ভক্ত এই মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন, এবং এর ফলে সংগ্রহ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি দান।
• সিঙ্গেল-ডে রেকর্ড — এক সর্বাধিক রবিবারে mন্দিরে ভিড় হয়েছে ৫০,০০০-এরও বেশি ভক্তের; নিরাপত্তা ও জনপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর ছিল।
ধর্মীয় উৎসব ও আন্তর্জাতিক উপস্থিতি
জন্মাষ্টমী ও রথযাত্রার মতো উৎসবগুলিতে শুধু স্থানীয় ভক্তই নয়, বরং বিদেশি পর্যটকরাও অংশ নিচ্ছেন:
• রথযাত্রার সময় দুইদিনে বাজিমাত—৩ লাখেরও বেশি ভক্ত মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন; প্রতিদিন ৭০,০০০ থেকে ১ লাখের মতো ভক্ত আসার কথাও জানা গেছে।
• ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি চীন থেকেও ভক্তরা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন; বাঙালি পর্যটনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রবাহও গতি পেয়েছে।
অর্থনৈতিক এবং পর্যটনিক প্রভাব
• হোটেল বুকিংয়ে ২০% বেড়েছে ধরা পড়ছে এই ভক্ত তীর্থের ফলে হোটেল শিল্পে ব্যাপক বৃদ্ধি; ৯০% পর্যটক শর্ট-স্টে (দুটো রাত) কাটাচ্ছেন, স্থানীয় ব্যবসা সমূহ উদ্বেগ সংশ্লেষে উৎসাহবর্ধক।
• রথযাত্রায় রাজস্ব আয়ের অগ্রগতি—মাত্র প্রথম বর্ষেই এই উৎসব থেকে দীঘায় প্রবাহিত হয়েছে ₹১০০ কোটি নগদ, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সারমর্ম
জন্মাষ্টমীর দিনে দীঘায় ধর্মানুভূতি এবং ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলন মিশ্রিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আগ্রহ নতুন মন্দিরটি কেবল ধর্মীয় জায়গা নয়, বরং পর্যটন, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। এই ভিন্ন পথে হাঁটা প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব দীঘার নতুন পরিচয় তুলে দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বৃহত্তর পর্যটন গন্তব্য হিসেবেও স্বীকৃত হতে পারে।






